বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার :: টেকনাফে মঙ্গলবার নাইটং পাহাড়ের ১৪টি স্থানে নাশকতার আগুনের পর আজ বুধবারও উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও চাকমা পল্লীতে আগুনে পুড়ে গেছে লার্নিং সেন্টারসহ ৩০টি ঘর। এ ঘটনায় তিন জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও রোহিঙ্গারা জানান, বুধবার দুপুরে হোয়াইক্যং পুটিনবিনয়া রোহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিম ব্লকে হঠাৎ করে একটি লার্নিং সেন্টার থেকে আগুন লাগে। এরপর আগুন একটি ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ঘরগুলো পুড়ে যায়। এতে আটটি লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গা শিবিরের ১৫টি ঘরসহ ৩০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হোয়াইক্যং চাকমারকূল রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা মো. জাবের বলেন, হঠাৎ করে আগুন ধরে ক্যাম্পের স্কুলসহ ৩০টি মতো ঘরে পুড়ে গেছে। তার মধ্যে স্থানীয়দের কয়েকটি ঘরও রয়েছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী চকরিয়া নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রোহিঙ্গাদের লার্নিং সেন্টারসহ বেশকিছু ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু স্থানীয় পল্লী চাকমাদের ঘরও রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়া হবে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত: